ক্যানভাস দেবশ্রী চক্রবর্তী পূর্ণিমার রাতে প্রকৃতি যে এক অনন্য শোভায় আবৃতা হয়ে মায়াময়ীর রূপ ধারণ করে তা আজ রাতের এই পথ চলা না থাকলে বোধহয় আজীবন অজানাই থেকেই যেত। এ এক অদ্ভুত নেশা, নিজেকে মাঝে মধ্যে নেশাগ্রস্থ বলে মনে হয়। যাক এরকম একটু নেশা গ্রস্ত থাকা ভালো। নাহলে জীবনের চলার আনন্দটা বড় বেশী বিস্বাদ হয়ে যায়। চাঁদের আলোয় দূরের পাহাড়ের খাজে দাঁড়িয়ে থাকা বন জঙ্গল আর মানুষের ঘরবাড়ি সব কিছু বড় বেশী পরিষ্কার দেখা যায়, যা দিনের বেলায় সূর্যের কড়া রোদেও দেখা সম্ভব না। এত উজ্জ্বল আলো পছন্দও না জিম সাহেবের। রাতের আলো অনেক বেশী সুন্দর আর পরিচ্ছন্ন।ঐ তো ঘন সবুজ পাহাড়ের মাঝে একটা ঝরনা। অত দূর থেকে ঝর্নার আওয়াজটাও কানে আসছে। ঝরো হাওয়ায় দূর দূরান্তের আওয়াজও পরিষ্কার শোনা যায়। ঝর্নার সাথে ক্ষেতের মাঝখান থেকে একটা চাপ বাঁধা ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক মিলে এক আবহ সংগীত রচনা করেছে। সামনের ক্যানভাসটা সংগীতময় একটি চলমান চিত্র, আলোর এবং হাওয়ার পরিবর্তনের সাথে সাথে চিত্রপটের এক অদ্ভুত পরিবর্তন হচ্ছে। চাঁদের ক্রমশ স্থান পরিবর্তনের জন্য আলোর পরিবর্তন হচ্ছে এবং হাওয়ার দিক পরিবর্তনের সাথে সাথে শস্য ক্ষেত...
Search This Blog
Kobi Debasree
দাদা মশাই বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষক শ্রী বিনয় ভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত । বিবাহ পরবর্তী জীবনে স্বামীর চাকরির সূত্রে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় থাকতে হয় । এই সময় সমাজ সেবা মূলক কাছে জড়িয়ে পড়ার সুবাদে সমাজের বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে আসা, সেই থেকে লেখা শুরু । লেখিকার লেখাতে সমাজের খেটে খাওয়া খুব সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রার বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে ।লেখিকা পথ শিশুদের নিয়ে"অঙ্কুর" নামক একটি সাংস্কৃতিক দল তৈরি করেন ।