আফগানিস্তানে হিন্দু ও শিখ
দেবশ্রী চক্রবর্ত্তী
আফগানিস্তানে হিন্দু ও শিখ ধর্মাবলম্বীরা বড় কোণঠাসা অবস্থার মধ্যে রয়েছে। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তাদের রীতিমতো সংগ্রাম চালাতে হচ্ছে। নিজ গৃহে পরবাসী হয়ে কাটছে ওই সংখ্যালঘুদের দিন। খবর রয়টার্স অনলাইনের।আফগান পার্লামেন্টের একমাত্র অমুসলিম সিনেটর আওতার সিং (৪৭) জানান, 'আমাদের কোনো আশ্রয় নেই, কোনো জমি নেই, কোনো কর্তৃপক্ষ নেই।' তিনি বলেন, 'সরকারের কেউ আমাদের কথা শোনে না, কিন্তু আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে, কারণ এছাড়া আমাদের কোনো পথ নেই।' ১৯৯২ সালে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ও গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত আফগানিস্তানে প্রায় ২ লাখ হিন্দু ও শিখ ধর্মাবলম্বী ছিল। প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সংখ্যা কমতে কমতে আজ মাত্র তা কয়েক হাজারে দাঁড়িয়েছে।যখন কাবুলে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় তখন এ দুই সম্প্রদায় ধর্মীয় কারণে হামলাকারীদের বিশেষ লক্ষ্যে পরিণত হয়।উগ্র হিন্দুরা ভারতে মসজিদ ভাঙার পর এ ঘটনার সমতা আনতে আফগানিস্তানে সশস্ত্র লোকজন একটি মন্দির গুঁড়িয়ে দেয় এবং ধর্মীয় বই ছিঁড়ে ফেলে। এছাড়া আফগানিস্তানের হিন্দু ও শিখরা ছিনতাই, অপহরণ, চুরি এমনকি ধর্ষণেরও শিকার হয়। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে তারা ভারতে পালিয়ে যায়। সেখানে যারা এখন রয়ে গেছে তারা ভিনগ্রহবাসীর মতো বাস করছে এবং অন্য বিদেশিদের মতো ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছে।
পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা
অবৈধ হিন্দু ও শিখদের বৈধতা দেবে ভারত সরকার। আসামের বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে
নরেন্দ্র মোদির সরকার এ বিষয়ে নির্বাহী আদেশ জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাহী
আদেশ জারি হলে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিসেবে দুই দেশ থেকে আসা অভিবাসীরা স্থায়ী বাসিন্দার
মর্যাদা পাবে। এনডিটিভি অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মোদি সরকারের এই নির্বাহী আদেশ
জারি হলে ভারতজুড়ে বসবাস করা লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসীর মধ্যে এর প্রভাব পড়বে। এসব
অভিবাসী এত দিন বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই দেশটিতে বসবাস করছে।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত
যেসব সংখ্যালঘু ভারতে প্রবেশ করেছে, তারা এই নির্বাহী আদেশের অন্তর্ভুক্ত হবে।
এক বছরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের প্রায় ৪ হাজার ৩শ হিন্দু এবং শিখ শরণার্থীকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার। এই সংখ্যা বিগত কংগ্রেস সরকারের সবশেষ পাঁচবছরের চার গুণ।পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া প্রায় দুই লাখ হিন্দু ও শিখ শরণার্থী বর্তমানে ভারতে বসবাস করছে।
মোদি সরকার ক্ষমতায় আসে ২০১৪ সালের মে মাসে। এরপর মধ্যপ্রদেশে ১৯ হাজার শরণার্থীকে দীর্ঘমেয়াদী ভিসা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে গুজরাটে ১১ হাজার এবং রাজস্থানে ৪ হাজার শরণার্থীকে দেওয়া হয়েছে দীর্ঘমেয়াদী ভিসা।
গত এপ্রিল মাসে এসব শরণার্থীদের দীর্ঘমেয়াদী ভিসা পাওয়া সহজ করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় অনলাইন আবেদনের পদ্ধতি চালু করে।
পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের হিন্দু ও শিখ- যারা ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চায়, তাদের কষ্ট লাঘবে সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়।
বর্তমানে রাজস্থানের যোধপুর, জয়সালমির, বিকানের ও জয়পুরে পাকিস্তান থেকে যাওয়া হিন্দুদের বসবাসের জন্য প্রায় ৪শ স্থাপনা রয়েছে।
আর বাংলাদেশ থেকে যাওয়া হিন্দু শরণার্থীদের অধিকাংশের বসবাস পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে। অপরদিকে শিখ শরণার্থীদের অবস্থান পাঞ্জাব, দিল্লি ও চণ্ডীগড়ে।
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের পাঁচবছরে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছিলো ১ হাজার ২৩ জন হিন্দু ও শিখ শরণার্থী।
মোদি সরকার ক্ষমতায় আসে ২০১৪ সালের মে মাসে। এরপর মধ্যপ্রদেশে ১৯ হাজার শরণার্থীকে দীর্ঘমেয়াদী ভিসা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে গুজরাটে ১১ হাজার এবং রাজস্থানে ৪ হাজার শরণার্থীকে দেওয়া হয়েছে দীর্ঘমেয়াদী ভিসা।
গত এপ্রিল মাসে এসব শরণার্থীদের দীর্ঘমেয়াদী ভিসা পাওয়া সহজ করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় অনলাইন আবেদনের পদ্ধতি চালু করে।
পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের হিন্দু ও শিখ- যারা ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চায়, তাদের কষ্ট লাঘবে সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়।
বর্তমানে রাজস্থানের যোধপুর, জয়সালমির, বিকানের ও জয়পুরে পাকিস্তান থেকে যাওয়া হিন্দুদের বসবাসের জন্য প্রায় ৪শ স্থাপনা রয়েছে।
আর বাংলাদেশ থেকে যাওয়া হিন্দু শরণার্থীদের অধিকাংশের বসবাস পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে। অপরদিকে শিখ শরণার্থীদের অবস্থান পাঞ্জাব, দিল্লি ও চণ্ডীগড়ে।
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের পাঁচবছরে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছিলো ১ হাজার ২৩ জন হিন্দু ও শিখ শরণার্থী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
কার্যালয়ে নির্বাহী আদেশ জারির প্রক্রিয়া চলছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদি ওয়াদা
করেছিলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্থায়ী নাগরিকের
মর্যাদা দেওয়া হবে। এই আদেশের মাধ্যমে সেই ওয়াদাই পূরণ হবে।
আগমী বছর আসামে বিধানসভা
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই রাজ্যে হিন্দু ও শিখদের পাশাপাশি অনেক অবৈধ মুসলিম
অভিবাসী রয়েছে। মোদির নির্বাহী আদেশের আওতায় পড়বে না তারা। তাদের পরিণতি কী হবে,
তাও বলা হয়নি। ফলে নির্বাচনে বিষয়টি বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।
১৯৮৫ সালে আসাম মুভমেন্ট ও
কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী
প্রতিবেশী দুই দেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর কথা। কিন্তু চুক্তিটি
পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। এটি রাজনৈতিক ইস্যু হয়েই আছে। এর আগে বাংলাদেশি অবৈধ
অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর কথা বলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তবে মোদির নির্বাহী আদেশ জারি
হওয়ার পর অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ইস্যুটি সামনে আসবে- এমনটি আশা করছে তারা।
এতদিন চুপ থাকলেও হিন্দু ও শিখ নির্যাতন নিয়ে মুখ খুললেন আফগানিস্তান জাতীয় সংসদের হিন্দু সদস্য,আইনপ্রণেতা ও মানবাধিকার কর্মী আনারকলি কাউর হনারইয়ার। শ্রীমতি আনারকলি বলেন,আফগানিস্তানে হিন্দু ও শিখদের এক রকম একঘরে করে রাখা হয়েছে।তাদের স্কুলে যেতে দেয়া হয় না।এছাড়াও অনরবত চলছে হিন্দু ও শিখদের জায়গা জমি দখল,হিন্দু ও শিখদের নিজ বাড়িঘর থেকে জোরে উচ্ছেদ করে দেয়া হচ্ছে।হিন্দু ও শিখদের জোর করে বাধ্য করা হচ্ছে ইসলাম ধর্ম গ্রহনে। এক কথায় বলতে গেলে হিন্দু ও শিখদের তাদের বংশ পরম্পরায় হাজার বছরের মাতৃভূমি আফগানিস্তান থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে!!!!!!!!যাক বহুদিন পরে হলেও আফগানিস্তানের হিন্দু সংসদ সদস্য হিন্দু ও শিখ নির্যাতন নিয়ে কথা বললেন। কিন্তু বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে ১৮% হিন্দু থাকলেও হিন্দুদের নির্যাতন করে বর্তমানে ৮% এ কমিয়ে আনা হয়েছে।আর কত হিন্দু কমলে বাংলাদেশের হিন্দু সাংসদরা কথা বলবেন?? পাকিস্তানে ১৯৪৮ সালে ১৫% হিন্দু থাকলেও বর্তমানে হিন্দুদের নির্যাতন করে তা ১.৮% এ নামিয়ে আনা হয়েছে! আর কত হিন্দু কমলে পাকিস্তানের হিন্দু সাংসদরা কথা বলবেন?? শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।আফগানিস্তানে হিন্দুদের অবস্থা সম্পর্কে জানুক সারা বিশ্ব।
Comments
Post a Comment