কোরান ও উপলব্ধি


কোরান পড়ে আমার উপলব্ধি 

দেবশ্রী চক্রবর্তী 



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম 

বর্তমান বিশ্বের সব থেকে বড় সমস্যা সন্ত্রাসবাদ । ইসলামকে হাতিহার হিসাবে ব্যাবহার করে, ধর্মের নামে  কিছু স্বার্থপর মানুষ  নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য নির্বিচারে নিরীহ মানুষদের প্রতি অত্যাচার চালাচ্ছে । কিন্তু এই এক দল নর পিশাচ যারা ইসলামকে হাতিয়ার করে পৈশাচিক কাজ চালাচ্ছে, তাঁদের এই কৃত কর্মের ভাগ সমগ্র ইসলাম সমাজ কি নিতে বাধ্য ? একটা ধর্মের কিছু মানুষের জন্য আমরা সমগ্র ধর্মটাকে নিষিদ্ধ মনে করে চলেছি । আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ কোরানের নাম শুনলে বলে সন্ত্রাসবাদী তৈরি করার জন্য এই গ্রন্থ লেখা হয়েছিল । দীর্ঘ দিন ধরে জিহাদের কথা শুনছি, কত মানুষের কত রকম বক্তব্য, অবশেষে ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণের কথা মনে পড়ল, ঠাকুর নিজে অন্যান্য ধর্মের মতন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, তিনি কোরান পড়ে বলেছিলেন সব ধর্মের একই কথা, আলাদা পাত্রে রাখার জন্য এক এক তার নাম  । আমি নিজের ব্যক্তিগত জীবনে কিছু মুসলিম ভাই বোন দের সাথে মিশে তাঁদের কাছ থেকে বহু মান সম্মান পেয়েছি, কখানও মনে হয় নি এরা অন্য ধর্মাবলম্বী । অনেক ভেবে চিনতে আমি কোরান পড়া আরম্ভ করলাম, সংসারের হাজার কাজের মধ্যে যে টুকু সময় পাই, পড়ছি । যে টুকু পড়েছি আমার মতন একজন খুব সাধারণ লেখিকার দৃষ্টিতে আমি কোরান সম্পর্কে আমার উপলব্ধি পাঠকের কাছে তুলে ধরব । 

কোরান সুরু করার সময় আমি গীতার সাথে এর এক অদ্ভুত মিল খুঁজে পেয়েছি, গীতার আরম্ভে লেখা ছিল গীতাড় বানী পৃথিবীর যে কোন স্থানের মানুষ নিজের প্রাত্যহিক জীবনে প্রোয়গ করতে পারেন, কোরানের সূচনায় একই কথা লেখা । পৃথিবীর যেকোন অঞ্চল, বর্ণ , ভাষার মানুষ এই বিধান গ্রহণ করতে পারেন । 

আমাদের দেশের প্রধান মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কালো ঢং উদ্ধার করে দেশের উন্নতির কাজে সেই অর্থ দান করার জন্য সকলকে আহ্বান জানাচ্ছেন । এই এক কথা মহম্মদ কোরানে বহু বছর আগেই বলে গেছিলেন । কেউ অতিরিক্ত অর্থ নিজের কাছে জমা রাখতে পারবেন না, সেই অর্থ গরিব দুঃখী মানুষের উন্নয়নের কাজে প্রয়োগ করতে হবে । সেই অর্থ যা তিনি দান করতে বলেছেন, তা হল যাকাত । আসুন আমরা জেনে নি যাকাত কি ? 

যাকাত কাকে বলে ?
যাকাত শব্দের অর্থ পবিত্র করা অথবা বৃদ্ধি পাওয়া।
পরিভাষায় যাকাত বলা হয়,শরীয়তের নির্দেশ ও নির্ধারণ অনুযায়ী নিজের সম্পদের একাংশের স্বত্বাধিকার কোন অভাবী গরীবের প্রতি অর্পণ করা এবং এর যে কোন প্রকার মুনাফা হতে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখা।
যাকাত কে যাকাত করে কেন নাম রাখা হল ?
যাকাত আদায়ের দ্বারা যাকাত দাতার মাল বৃদ্ধি পায় অথবা যাকাত দাতার মাল পবিত্র হয় এবং যাকাত দাতার অন্তর কৃপণতার কলুষ থেকে পবিত্র হয় বলে যাকাত কে যাকাত করে নাম রাখা হয়েছে। কোরআনের আলোকে যাকাত আল্লাহপাক কোরআনে পাকের যত স’ানে নামাযের কথা বলেছেন তত স’ানে যাকাত আদায়ের কথা বলেছেন। ঈমান ও নামাযের ন্যায় যাকাত ও একটি ইসলামের মৌলিক বিধান।
হাদীসের আলোকে যাকাত
হযরত ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত রাসূল সা. বলেছেন ইসলাম পাঁচটি স-ম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। ১.কালিমায়ে শাহাদাত (ঈমান) ২.নামায কায়েম করা ৩.যাকাত আদায় করা ৪.হজ করা ৫.রমজান মাসে রোযা রাখা উক্ত হাদীসে যাকাত কে তৃতীয় স-ম্ভ বলে রাসূল সা. ঘোষণা করেছেন। এর দ্বারা যাকাতের কি গুরুত্ব তা সহজেই উপলব্ধি করা যায়।
এভাবে আরো অনেক হাদীস দ্বারা যাকাত ফরয হওয়া ও তা আদায়ের লাভ ও গুরুত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়।
যাকাত আদায় করলে লাভ কি ?
১) আল্লাহ পাকের একটি বড় হুকুম পালন করা হয়,ফলে তার প্রতি আল্লাহপাক সন’ষ্ট হন।
২) যাকাত দাতার মাল পবিত্র হয়
৩) যাকাত দাতার ধন সম্পদ আল্লাহ পাক হেফাজত করেন।
৪) যাকাত আদায়ের দ্বারা অন্তর পাক পবিত্র হয়।
৫) দুনিয়ার লোভ লালসা ও মাল দৌলতের মুহাব্বত কমে গিয়ে আল্লাহর মুহাব্বত অন্তরে প্রবেশ করে।
৬) যাকাত আদায়ের দ্বারা গরীবের সাথে মুহাব্বত সৃষ্টি হয়।
৭) যাকাত দাতার শত্রু কমে যায় এবং তার মাল দৌলতে বরকত দেখা দেয়।
৮) পরকালে বড় পুরস্কার পাওয়া যায়।
যাকাত আদায় না করার পরিণাম
কোরআনের আলোকেঃ-
যারা যাকাত আদায় করে না তাদের ব্যাপারে আল্লাহপাক বলেন,“যারা সোনা রূপা জমা করে,অথচ আল্লাহর রাস্তায় তা খরচ করে না( যাকাত আদায় করে না) তাদের কে কষ্টদায়ক আযাবের সংবাদ দিন যেই দিন দোযখের আগুনে তাদের কে গরম করা হবে। অতপর দাগ দেওয়া হবে সেগুলো দ্বারা(জমাকৃত সোনা রূপা) তাদের ললাটে,পার্শদেশে ও তাদের পৃষ্টদেশে। ( এবং বলা হবে) স্বাদ গ্রহন কর ঐ জিনিসের যা তোমরা দুনিয়াতে জমা করেছিলে। ”
হাদীসের আলোকেঃ-
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত রাসূল সা. বলেছেন,যাকে আল্লাহপাক সম্পদ দান করেছেন আর সে সঠিকভাবে উক্ত সম্পদের যাকাত আদায় করেনি,কিয়ামতের দিন তার সম্পদ কে তার জন্য একটি বিষাক্ত সর্পের রুপ ধারণ করাবেন। সে সর্পকে তার গলায় বেড়ী স্বরূপ করা হবে। সর্পটি নিজ মুখের দুই দিক দ্বারা ঐ ব্যক্তিকে দংশন করতে থাকবে এবং বলবে আমি তোমার মাল,আমি তোমার জমাকৃত সম্পদ। অতপর রাসূল সা. হাদীসের সমর্থনে এই আয়াতটি পাঠ করলেন“ যারা কৃপণতা করে …….
অপর হাদীসে আছে, হযরত বুরাইদা রা. বলেন,যে সমপ্রদায় যাকাত আদায় করে না,আল্লাহ পাক তাদের কে দূর্ভীক্ষের কবলে নিক্ষেপ করেন। অপর এক হাদীসে আছে তাদের উপর রহমতের বৃষ্টি বন্ধ করে দেন।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভয় দেখান উচিৎ, কিছু নিয়ম বেঁধে দেওয়া উচিৎ, যা আমাদের প্রধান মন্ত্রী করছেন । না হলে বিশৃঙ্খলতা আসে ।  

যারা ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদ ছড়ান , তাঁদের উদ্দেশ্যে একটা কথা বলি, আমি হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে হয়ে কোরান পড়ে বলছি, আপনাদের কোরানে লেখা আছে “ রোযা ঢাল স্বরূপ, তোমাদের কেউ কোন দিন রোযা রাখলে সে যেন কোন দিন অশ্লীল কথা না বলে, হৈ  চৈ না করে । কেউ যদি তাকে গাল মন্দ করে, বিবাদের প্রোরচিত করে তাহলে সে যেন বলে আমি রোজাদার । 

যাকাত সম্পর্কে “হযরত আয়েশায় বর্ণিত আছে, সম্পদের সাথে যাকাতের সংমিশ্রণ ঘটলে তা সম্পদকে ধ্বংস করে দেয় । 

ঠিক যে ভাবে ইনকাম ট্যাক্স না দিয়ে ভারতবর্ষের কিছু মানুষের কোটি কোটি টাকা এখন শুধুই কাগজের টুকরো । 

বোকারাঃ ১৯৭ এ লেখা আছে যে হজ্জকালীন সময় স্ত্রী সহবাস, পাপ কাজ, ঝগড়া বিবাদ না করা । “ হযরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি এ ঘরে এলো এবং কোন প্রকার পাপ কাজ ও অশ্লীলতা কাজে নিমজ্জিত হয় নি , তবে সে সেখান থেকে এমন ভাবে পবিত্র হয়ে ফিরে যায়, যেন তার মা তাকে জন্ম দিয়েছে । নবী করীম  ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে সে কখনো ইমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তাই পছন্দ করবে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করেছে । সে কখনো ভাইয়ের অসাক্ষাতে তার ভাইয়ের নিন্দা করবে না, তা হলে তার ভাই দুঃখ পাবে । এখানে আরও বলা হয়েছে তোমার ভালো কাজ তোমাকে সব সময় আনন্দ দান করবে, তোমার পাপ কাজ তোমাকে সব সময় দুঃখ দেবে । পাপ কাজ কখনো করবে না । কোরানে বলেছে তোমরা একে ওপরের গোপনীয় বিষয় খোঁজা খুঁজি করো না । আর একে ওপরের পরনিন্দা করো না । 

পাকিস্তানীরা সব সময় ভারতের দোষ ধরে , আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে । পাকিস্তান তো ইসলামিক রাষ্ট্র । পাকিস্তানীরা তোমরা সত্যি কি কোরান পড়েছ ? এখন তো মনে হচ্ছে তোমরা সত্যিকারের মুসলমানই না । প্রতিবেশীর হক সম্পর্কে কোরান হাদিস বলেছেঃ - আত্মীয় স্বজন, পিতৃহীন, অভাবগ্রস্থ, প্রতিবেশী, সঙ্গী সাথী, পথচারী, তোমাদের দাস দাসীদের সাথে সব সময় সদয় ব্যবহার কর । 

এ প্রসঙ্গে “ হজরত আয়েশা হতে বর্ণিত কছু কথা তুলে ধরছি । নবী করীম বলেছেন, জিবরাঈল নিয়ত আমাকে প্রতিবেশীর হক সম্পর্কে তাকাদি দিচ্ছিলেন । এমন কি আমার ধারনা জন্মেছিল হয়ত প্রতিবেশীকে সম্পত্তিতে হকদার করা হবে । হযরত আবু যার তে বর্ণিত আছে, তুমি তরকারিতে বেশি জল দেবে, যাতে তুমি প্রতিবেশীর খোঁজ নিতে পারো । হযরত আবু হুরায়রাতে বর্ণিত আছে । মুসলিম নারীরা তোমরা প্রতিবেশীর ঘরে সামান্যবস্তু পাঠাতে কখনো কুণ্ঠা করবে না , সে বখরির পায়ের অংশই হোক । 

বন্ধুরা সন্ত্রাসবাদীরা সব সময় বলে তারা শান্তির দূত, বাকিরা যা বলে সব মিথ্যে । দেখুন কুরান এ মহম্মদ এদের সম্পর্কে আমাদের সচেতন করে গেছেন । সূরা বাকারাহ থেকে আমি তুলে ধরছি সেই কথা । মানুষের মধ্যে এমন মানুষ আছেন যারা বলেন আমরা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী , কিন্তু তারা তা রাখে না । আল্লাহ এবং তার বিশ্বাসীগণকে তারা প্রতারিত করতে চায় । অথচ তারা নিজেদের ভিন্ন কারুকে প্রতারিত করে না । এ তারা বুঝতে পারে না । তাঁদের অন্তরে ব্যাধি আছে । অতঃপর আল্লাহ্‌ তাঁদের ব্যাধি বৃদ্ধি করেছেন এবং তাঁদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি, কারণ তারা মিথ্যাচারী । তাঁদের যখন বলা হয় , পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করো না , তারা বলেন যে তারা তো শান্তি স্থাপনকারী । সাবধান তারাই অশান্তি সৃষ্টিকারী , কিন্তু এরা এটাই বুঝতে পারে না । যখন তাঁদের বলা হয় অপরাপর লোকেদের মতন তোমরা বিশ্বাস করো, তাড়া বলে নির্বোধরা যে ভাবে বিশ্বাস করে আমরা কি তাই বিশ্বাস করব ? খুব সাবধান । এরাই নির্বোধ, কিন্তু এরা তা বুঝতে পারে না । যখন তারা বিশ্বাসীদের সামনে থাকে তখন তাড়া বলে আমরা বিশ্বাস করছি, কিন্তু যখন তাড়া নিভৃতে তাঁদের দলপতিদের সাথে মিলিত হয় তখন তাড়া বলে আমরা তোমাদের সাথেই রয়েছি, আমরা শুধু তামাসা করছিলাম । এরাই সত্য পথের বিনিময় ভ্রান্ত পথ ক্রয় করে । এরা যখন চারিদিকে আগুন জ্বালায়, তখন আল্লাহ্‌ তাঁদের ঘর অন্ধকার করে দেয়, তখন তাড়া আর কিছু দেখতে পায় না । এই মাত্র যা বর্ণনা করলাম তা সূরা বাকারাহ রুকু ২ বর্ণনা করলাম । 

রুকু ৫ এর একটি লাইন তুলে ধরছি, যেখানে তিনি বলছেন, তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না , জেনে শুনে সত্য গোপন করো না । 


কোরান পড়তে পড়তে কিছু কিছু জায়গায় মনে হয়েছে কোরানকে আমাদের হিন্দু ধ্রমশান্ত্রের মতনই কিছু কিছু জায়গায় নিজের স্বার্থে কিছু মানুষ বিকৃত করেছেন । অল্বিরুনির ভ্রমণ বৃত্তান্ত, ইবন বটুটার রিহালা পড়ে দেখেছি আরব দেশে কোথাও গরু নামে কোন প্রাণীর কথা বর্ণনা করা নেই । সেখানে উট , ঘোড়া, মেষ, বখরি এসব প্রাণীর মাংসের কথা উল্লেখ করা আছে । মরুভূমি অঞ্চলে গরুর মতন তৃণভোজী প্রাণীর থাকা সম্ভব না । দেশদখলের লোভে যত ভারত ভূমির দিকে মুসলিম রাজারা অগ্রসর হয়েছেন তারা এখানে এসে গরু খাওয়া আরম্ভ করেছেন । আই এস আই এস দের মতন সন্ত্রাসীরা সব সময় সব যুগেই ছিলেন , বাবরের  জীবনী পড়তে গিয়ে পড়েছিলাম ওনার দিদি এবং প্রথম স্ত্রী এ ধরনের আতঙ্কবাদী রাজাদের দ্বারা অত্যাচারিত হয়েছিলেন । বাবরে র পরিবারকেও ভয়ঙ্কর দুর্দিনের সম্মুখীন হতে হয়েছিল এদের জন্য, অল্বিরুনির ভ্রমণ বৃত্তান্ত পড়ে জেনেছি এরা যে দিকে গেছেন হত্যা  লীলা চালিয়েছেন, আফগানিস্তানে নির্বিচারে হিন্দু মন্দির ধ্বংস করেছেন । এখনও আফগানিস্তানের প্রধান নদীর নাম হরি নদী । এই সব রাজারা হিন্দু ধর্মকে আঘাত করার জন্যই গরু খাওয়া আরম্ভ করেছিলেন, আরব দেশে যে কোরান প্রথম লেখা হয় তাতে আমার মনে হয় গরুর উল্লেখ ছিল না । 

আমাদের  মধ্যে এখনও এমন কিছু মানুষ আছেন যারা যাদু বিদ্যার মাধ্যমে মানুষের সাথে মানুষের বিচ্ছেদ ঘটান, নর বলি দেন, এদের বিরুদ্ধে কোরানে সাবধান করা হয়েছে । কাবার আশে পাশে কেউ সন্ত্রাস তৈরি করতে পারবে না, কাবার পবিত্রতা বজায় রাখতে হবে । কিন্তু কাবাকেই আই এস রা আক্রমণ করছে, কিছু দিন আগেই তো দেখলাম মদিনাতে  বোম্ব ব্লাস্ট করা হয়েছে । যারা করছেন তারা কি সত্যিই মুসলমান ? এই প্রশ্ন এখন আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে । 

সায়াকুলুস সোফাহায়োর ২২ নম্বর রুকুতে বলা হয়েছে মসজিদ উল হারেমের অর্থাৎ কাবার আশেপাশে কখনো হিংসা করো না । যতক্ষণ না তারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তাঁদের হত্যা করবে না । কিছু মানুষ পৃথিবীতে অশান্তি তৈরি করে, শস্য ক্ষেত্র জ্বালিয়ে দেয়, জীবজন্তুর বংশ নিপাত করে, আলা কিন্তু অশান্তি পছন্দ করেন না । 

৩০ রুকের কয়েকটি লাইন তুলে ধরছি ।যা আমার খুব ভালো লেগেছে । “ তোমরা যখন স্ত্রীদের তালাক দাও এবং তারা তাদের নির্দিষ্ট সময় পুরন করে , তখন তাদের আপন খুশিমত অন্য স্বামী গ্রহণ করতে বাঁধা দিও না,এত দ্বারা তোমাদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ্‌ ও পরকালে বিশ্বাস করে তাদের উপদেশ দেওয়া হয় । 

তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মারা যায়, তাদের স্ত্রীগ্ন চার মাস, দশ দিন অপেক্ষা করবে , তারপর বিবাহ করলে কোন পাপ হবে না । 

তোমরা সহবাস  করার আগে স্ত্রীদের তালাক দাও তবে কোন পাপ হবে না, কিন্তু তাদের উপযুক্ত খরচ দিও । 

যারা স্ত্রী রেখে মারা যাবে তাদের স্ত্রীদের ভরণপোষণ দিতে হবে এবং এক বছর বাড়ি থেকে বার করা যাবে না , যদি তারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়, নিজের ভালোর জন্য কিছু করেন, তাতে কোন পাপ নেই ।

৩৮ রুকুতে সুদ খাওয়াকে পাপের সঙ্গে তুলনা করেছে । আল্লাহ্‌ বলেছেন অভাবিকে ঋণ সন্দের জন্য সময় দাও, যদি তার ঋণ মুকুব কর তাহলে তাতে পুণ্য । 

কারুর সাথে ঋণ সংক্রান্ত কারবার করলে লিখিয়ে রাখতে হবে । স্বাক্ষী হিসাবে দুজন পুরুষ অথবা দু জন নারী ও একজন পুরুষকে রাখতে হবে । একজন ভুল করলে আরেকজন মনে করিয়ে দেবে । 

৭৪০ পাতার কোরানের মহ্যে সবে ৭৯ পাতা শেষ করতে পেরেছি । এখনও মহাসাগর বাকি আছে, তাই এই টুকুর মধ্যে যেটুকু কুরানকে চিনেছি তা তুলে ধরলাম তোমাদের সামনে । এ এক অনুভূতি যা আত্মিক অনুভূতি বলা যায়, মন থেকে সব বিচার বাদ দিয়ে, বাহ্যিক জ্যান শূন্য হয়ে বিচার করার অনুভূতি । ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের ভাষায় দুধ টুকু শুষে নিলাম, জলটা পড়ে থাক । যুগ য্যগ ধরে ধর্ম গ্রন্থ গুলো বিকৃত হয়েছে, তবুও তার মধ্যে এখনও আব্জহা হয়ে টিকে আছে মহাপুরুষদের বানী যা শত চেষ্টা করেও বিকৃত করা যায় না । তাদের সেই মতবাদ মন খুলে গ্রহণ করলাম, বাকি সব কিছু মিথ্যে । 










Comments

Popular Posts