৭১ এর যুদ্ধে বাংলাদেশ পাকিস্তান এর শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ নামে এক নতুন রাষ্ট্র হিসাবে আত্মা প্রকাশ করল ... ভারতীয় সেনার বাহিনীর সাহায্য ছাড়া মুক্তি যোদ্ধাদের যেমন আত্ম বলিদান দিয়ে শুধু সেই স্বাধীনতা আসা সম্ভব ছিল না..... বাংলাদেশের যুদ্ধে যেসব ভারতীয় সেনা প্রাণ দিয়েছিলেন ... আমি তাদের সম্মান জানাই .... কারণ তাঁরা এমন এক দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন যে দেশ তাঁদের নিজের দেশ ছিল না । ... তাদের ছেলে মেয়ে স্ত্রী রা তাঁদের কাছের মানুষকে হারিয়েছিলেন এমন এক দেশের মুক্তিযুদ্ধের জন্য যে দেশ তারা কোনদিনও চোখেই দেখে নি । .....কিন্তু অদ্ভুত লাগে যখন দেখি বাংলাদেশের এর মুক্তি সংগ্রাম এর ওপর লেখা বই গুলো পড়ি ..... ... সেখানে ভারতীয় সেনাদের আত্মা বলিদান সম্পর্কে একটা কথাও লেখা নেই ।
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর খালেদাজিয়া সরকার আর শেখ হাসিনা সরকার দুই শিবিরই ঘোষণা করেন যে তাঁরা ভারত বিরোধী .....তারা মনে করেন ভারত থাকার জন্য তাদের দেশটা শেষ হয়ে গেল । ...... ভারতের নিন্দা করবে আবার ভারতীয় সিনেমা দেখবে, গান শুনবে, ভারতীয় লেখকদের বই পড়বে ... ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য ভারতের স্কুল কলেজে পাঠাবে । .....চিকিৎসার জন্যও ভারতে আসতে হবে । ...... ভারতীয় জামাকাপড় পড়ে ফ্যাশন করবে .....ভারতের গরু খেয়ে খেয়ে মুখ চোখ কুচকে যাবে,তাও ভারত খারাপ ।
বাঘা যতীন এর শত বর্ষ চলছে । .... বাঘা যতীন কুষ্টিয়ায় কয়া গ্রামে জন্মে ছিলেন । ..... বাঘা যতীন এর আত্ম বলিদানের কথা আমরা সবাই জানি । .... ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর সামনে বাঘা যতীনের ঘোড়ায় চড়া মূর্তি আছে ।. ... বাঘা যতীনের নামে ভারতে স্টেশনের নাম,জায়গার নাম আছে.... BURIBALAM এর তীরে তাঁর নামে স্মৃতি সৌধ তৈরি হয়েছে ....কিন্তু তাঁর জন্ম ভূমিতে তাঁর নামে কিছু নেই । কি লজ্জার ব্যাপার ।.... ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু গড়ের মাঠেই বক্তৃতায় বলেছিলেন বাঘা যতীনর নামে কুষ্টিয়ায় একটি মিলিটারি একাডেমী তৈরি হবে । ... কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর মিলিটারি একাডেমী তো অনেক দূরের কথা একটা স্মৃতি সৌধও গড়ে ওঠে নি । ... কিছু বুদ্ধিজীবী কুষ্টিয়ায় থেকে ওড়িশায় এসেছিলেন বাঘা যতীনের শতবর্ষ সম্পর্কে অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করতে । ..... তাঁরা দেশে ফিরে কি কিছু ভাবছেন ????????


Comments

Popular Posts