অনুপ্রবেশ
দেবশ্রী চক্রবর্ত্তী
দেশ জুড়ে জঙ্গি হামলার জন্য সতর্কতা জারী করা হয়েছে,বাড়ানো হয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকার নিরাপত্তা । আর তার মধ্যেই চলছে বাংলাদেশী দের অনুপ্রবেশ । ভারতে নতুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং ঘোষনা দিয়েছেন শীঘ্রই ভারতে অবৈধ বাংলাদেশিদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওদিকে বাংলাদেশ সরকার বরাবরের মতো বলছে ভারতে কোনো বাংলাদেশি থাকে না। আসলেই কি তাই? আমাদের উচিত সত্য অস্বীকার না করে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বসে আলোচনা করে এর একটা সমাধান বের করা। ভারতে কোটি কোটি বাংলাদেশি পাড়ি জমিয়েছে জীবিকার তাগিদে। বহু বছর ধরে এই অবৈধ পাড়ি জমানো চলে আসছে। আসাম রাজ্যে কমপক্ষে ১ কোটি বাংলাদেশি থাকে ভারতীয় পরিচয়ে। এক মাস আগে সেখানকার আদিবাসী বোড়ো সম্প্রদায়ের সাথে বাংলাদেশিদের সংঘর্ষ হয়েছিলো। সেই সংঘর্ষে প্রায় ৩০ জন নিহত হয়েছিলো। আর্মি মোতায়েন করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি আসামের জনগনকে 'বাংলাদেশি তাড়ানোর' প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি এটা কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তো আর এদের বোঝা নেবে না। এমনিতেই দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ঘটেছে। এদের বোঝা ভারত নেবে না। এদের বোঝা বাংলাদেশও নেবে না। তবে কারা নেবে এত বড় জনগোষ্ঠীর বোঝা?
বাংলাদেশ ঘেঁষা ভারতের সীমান্ত প্রদেশ গুলো যেমন ত্রিপুরা,আসাম,পশ্চিমবঙ্গ এই সমস্ত অঞ্চলে বহু বিদেশী চরেরা ঘোরাফেরা করেন এবং এদের প্রধান টার্গেট হয় এই অনুপ্রবেশ কারিরা । এদের অল্প পয়সায় ভুলিয়ে ভালিয়ে কাজকরানটা ভীষণই সহজ । গত সপ্তাহে আমার এক সাংবাদিক বন্ধুর সাথে এই বিষয়ে কথা হচ্ছিল । ওর কাছ থেকে জানতে পারলাম বারাসাত,বসিরহাট,হাসনাবাদ এই অঞ্চলে একটা এরকম চক্র আছে বলে ও শুনেছে,
যাদের কাজ হল চর বৃত্তি । বারাসাত,বসিরহাট লাগোয়া অঞ্চল গুলোতে বাংলাদেশী মানুষ কি ভাবে থাকে এবং তারা কি কি কাজ করে তার খবর কিন্তু আমরা কেউ রাখি না ।
জামাত থেকে উদ্ভূত জঙ্গীগ্রুপগুলো কল্পিত খিলাফত প্রতিষ্ঠার লড়াইটি চূড়ান্ত পর্যায়ে চালিত করছে পুরো দক্ষিণ এশিয়ায়। পাকিস্তান-ভারত-বাংলাদেশে তাদের নেটওয়ার্কটি সমানভাবে বিস্তৃত। এই ভাবে যদি অনুপ্রবেশ হতে থাকে তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ কিন্তু ভয়ঙ্কর । দেশের স্বার্থে আমাদের সচেতন হতে হবে ।
Comments
Post a Comment