Cycle er tyre
আজকের গল্পটা যাকে নিয়ে লিখতে বসেছি তার সম্পর্কে কিছু বলার আগে অন্য কয়েকটা কথা ঘটনাটি বোঝার জন্য পাঠককে জানিয়ে রাখা দরকার । আমার বাপের বাড়ি যে গলিটার মধ্যে, সেই গলিটা তে ঢুকতেই কিরন সরকারের সাইকে সারাবার দোকান ডান দিকে,দোকান মানে মানধাতা আমলের জং ধরা একটা পাম্প মেশিন আর একটা টিনের শত জীর্ন বাক্সের ভেতর কয়েটা কাল্পনিক সাইকেল সারাবার যন্ত্রপাতি আর দোকানের একপাশে ভাঙ্গা টালির ছাদ থেকে ঝুলছে একটা সাইকেলের চোপসানো টায়ার । দোকানটার দৈন দশা দেখলে পথ চলচি পথিকও একবার থমকে দাড়ায় । একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে দোকানে পেছনে একটা ঝুপড়ি ঘর , ঘরটির দৈনদশা দেখেই এই পরিবারের চিত্র সকলের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় । ঝুপড়ি ঘরের মধ্যে কিরন সরকারের পুরো পরিবার, মানে ওঁর তিন মেয়ে লুলু, সুন্দরি, অলি, ওর ছেলে লালু আর ওর বৌ খুশি র বাস , কিরন সারা দিন দোকানের একটা ভাঙ্গা টুলে বসে থাকে । শীত গ্রীষ্ম এক করে মাদুর বিছিয়ে একটা ছেড়া কাথা যা কিরনের মা তার বাবার জন্য বানিয়েছিল, বাবার অবর্তমানে সে সেই পৈত্রিক সম্পত্তির অধিকারি হয়ে খুশি মনে সারা গায়ে পেচিয়ে সে শুয়ে থাকে দোকান ঘরের মাটির মেঝেতে । বর্ষা কালে একটু অসুবিধা হয়, যখন টালির ফাটল দিয়ে জল পড়ে । তখন কিরন বিছানা গুটিয়ে দোকানের একটা কোঁনে রাখা ভাঙ্গা টুলের ওপর ঝিমায় , কিন্তু ভুলেও পরিবারের সাথে ঝুপড়ি ঘরে রাত কাটায় না ।
সাইকেলের চাকায় পাম্প দিয়ে আর সাইকেল সারিয়ে যা দু এক পয়সা আয় তাতে এতো গুলো পেট চালান সত্যিই অসম্ভব ব্যাপার, তবে অন্য কোন কাজ খোঁজা তারমতন কুড়ে কামলা লোকের পক্ষে সম্ভবও নয় । সকালে ঘুম থেকে উঠে দোকান খুলে বসা আর দোকানে সাইকেল সারাতে আসা বেকার কিছু ছেলে ছোঁকড়ার সঙ্গে আড্ডা মারাই ওর কাজ ।
আমাদের বাড়ীর সবাইকে আমাদের পাড়ায় সবাই বেশ মান্যি গন্যি করে । আমার দয়াময়ী ঠাম্মির চোখে পড়ল অলি আর লালু যারা প্রায় আমার বয়েসি স্কুলে যায় না, সারাদিন পাড়ায় টৈ টৈ করে বেড়ায় , ঠাম্মি এটা কিছুতে মেনে নিতে না পের অবশেষে আমার সঙ্গেই ওঁদের এক ক্লাসে ভর্তি করে দেয় ।
কিরন সরকারের চেহারার বর্ননা আমার পক্ষে দেওয়া কখনই সম্ভব না । ছোটকার ভাষায় হিব্রু মার্কা চেহারা । হিব্রু মার্কা মানে যে কি, তা একমাত্র ছোটকাই জানে । একবার ভগৎ সিং এর ইটের গোলায় ছোটকা তাঁর বন্ধুদের সাথে বিশেষ কোন কাজে গেছিল, কিরন সরকারও নাকি বিশেষ কোন কাজে গেছিল সেখানে । রাতের অন্ধকারে ছোটকার সঙ্গে যেই না কিরনের মুখো মুখি , ছোটকা নাকি মূর্ছা যায় তক্ষুনিই ।
পরে সে জেনে আস্বস্ত হয় যে সে কোন হিব্রু মার্কা ভূতের মুখো মুখি হয় নি, এ হল কিরন ।
কিরন আর খুশির সংসারে এতগুলো পেট কি করে যে চলে তা নিয়ে পাড়ার লোকেদের কোন মাথা ব্যাথা ছিল না, যতটা না ছিল ওঁদের চাল চলন নিয়ে মাথা ব্যাথা ।
লালু আর অলি আমার সঙ্গে সকালে স্কুলে যেত, স্কুল থেকে এসে আমাদের বাড়ীতেই থাকত, সন্ধ্যে বেলা আমার মা আমাদের বারান্দায় মাদুর পেতে পড়াতে বসত । আমাদের বাড়ীতে প্রতিষ্ঠা করা বিশ্বনাথ আর মা সিদ্ধেশ্বরী আছেন , তাই আমাদের বাড়ীর নাম সিদ্ধেশ্বরী বাড়ী । ঠাম্মি সন্ধ্যা বেলায় ঠাকুরের আরতি সেরে ঠাকুরকে সজ্জা দিয়ে তুলসি তলায় প্রদীপ দিতে আসত । ধূপ ধুনোর গন্ধে পরিবেশটা এতসুন্দর লাগতো যে সত্যি তার বর্ননা দেওয়া সম্ভব না । আমরা বান্দায় বসে পড়তাম মা স্টোভে সন্ধ্যার চা, জলখাবার তৈরি করত, স্টোভের গন্ধ নাকে আসতো ।
এরকমই একদিন সন্ধ্যে বেলা আমরা পড়ছি, এমন সময় খুশি জেঠিমা কাঁদতে কাঁদতে পড়ল আমাদের ঠাকুর মন্দিরের সামনে ।
ঠাম্মি এসে ওকে বুকে টেনে নিয়ে জিজ্ঞাসা করল "কি হয়েছে খুশি ? সন্ধ্যে বেলায় মায়ের মন্দিরের সামনে এরকম কাঁদতে নেই, অকল্যান হবে যে । "
মা, অকল্যানের আর বাকি কি আছে ?
মা, সুন্দরি গলায় দড়ি দিয়েছে ।
কি বলছ খুশি ?
হ্যা মা এখ্খুনি চলুন ।
সেদিন আমাদের পড়াশুনা মাথায় উঠল, আমরা ছুটলাম ঠাম্মির পিছু পিছু, গিয়ে দেখলাম ঝুপড়ি ঘরের টিনের দর্জাটা দুমড়ে মুচড়ে পড়ে আছে, পাড়ার ছেলেরা ধরাধরি করে সুন্দরির নিথর দেহ খানি এনে উঠানে শুইয়ে দিল ।
খুশি জেঠিমা আমার ঠাম্মিকে জড়িয়ে ধরে অনেক ক্ষন কান্না কাটি করল আর অনুনয় বিনয় করে বললো, মা আপনার ঠাকুরকে বলুন না আমার সুন্দরিকে বাঁচিয়ে দিতে । আমার মনে আছে ঠাম্মি পাথরের মতন দাড়িয়ে ছিল সেদিন ।
সুন্দরির মৃত্যুটা সেদিন আমার কাছে একটা রহস্য হয়েই থাকল ।
সুন্দরীর মৃত্যুর পর বেশ কিছুদিন পাড়ায় কানা খুশো হল সুন্দরি আর ফার্নিচেয়ারের দোকানের কার্তিক নামে এক কর্মচারির প্রেম নিয়ে ।
আমাদের বাড়ীতে কাজ করত ভোলার মা, সে তো কলতলায় বসে একদিন হাতপা ছড়িয়ে কান্না জুড়ল যে
'হায়রে মেয়েটার মনের কথাটা তোরা বুঝলি না ? "
কিন্তু এই ভোলার মাই একদিন কত মন্দ কথা বলেছিল সুন্দরি আর কার্তিকের সম্পর্কটা নিয়ে । এখন সেই অন্য সুর গাইছে ।
সুন্দরির মৃত্যুর পর কার্তিক ফার্নিচেয়ার বানানর কাজ ছেরে কোথায় যে চলে গেল , কেউ তার খোঁজ আর পায়নি ।
আমার এখন কয়েকটা কথা খুব মনে হয়, তখন বোঝার মতন বয়স ছিলনা বলে হয়তো বুঝে উঠতে পারিনি । আমি স্কুল থেকে ফেরার পথে কয়েকবার দেখেছি কার্তিক সুন্দরিদের বাড়ী ঢুকছে, কয়েকবার কার্তিকের সাইকেলে করে সুন্দরীকে বেরাতে যেতেও দেখেছি, তার মানে ওঁর বাড়ীতে সবাই ব্যাপারটা জানত ও মেনেও নিয়েছিল, তবে কি এমন ঘটেছিল যে সুন্দরিকে আত্ম হত্যার পথ বেছে নিতে হল ?
সুন্দরি চলে গেছে ৮ মাস কেটে গেছে , প্রতিবেশিদের কাছে সুন্দরির মৃত্যু রহস্য আজ আর উৎসাহিত করে না, তারা আজ অন্য সব নতুন নতুন রসালো খবর নিয়ে মেতে উঠেছে । প্রাত্যহিক সংসার সংগ্রামে সরকার পরিবারও শোক তাপ ভুলে অনেকটাই চাঙ্গা হয়ে উঠেছে ।
এমনই এক দিন স্কুল থেকে বাড়ী ফিরে জানতে পারলাম লুলু H.S এ Third Division পেয়েছে ।
আমার মা বলছে লুলুটা বড়াবড়ই পড়াশুনায় ভালো, কি বলুন মা ?
আমার ঠাম্মিও সুরটা আরেকটু তুলে বললো, তবে ? একটা বই কিনে দিতে পারত না বাবা মা, এর ওঁর তার কাছ থেকে বই ধার করে পড়ে দেখ এক বারে H.S পাশটা তো করল ।
জানেন মা, দাশগুপ্ত বাড়ীর মেয়েটার তো গাঁদা খানেক টিচার, মেয়েটা English এ ব্যাক পেয়েছে ।
আমার আর ভালো লাগছিল না কথা গুলো, বললাম, খেতে দাও ।
মা অমনি বলে উঠল, পড়াশুনার কথা হচ্ছে যে, ভালো লাগবে কেন ?
তোমরা বুঝতে পারছ না কেন লুলু দিদি Third Division পেয়েছে, বাজে রেজাল্ট ।
আমার ঠাম্মি বললো আগে তুমি পেয়ে দেখাও ।
আমার ক্লান্ত লাগছিল ।
লুলু কোন রকমে পাশ করলেও টাকার অভাবে ওঁর আর পড়া হল না । লুলুর পড়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমার মা বা ঠাম্মির মতন কোন স্ব হৃদয় ব্যক্তি এগিয়ে আসে নি সেদিন ।
স্কুলে হেটে যেতে অসুবিধা হয় বলে বাবা আমাকে একটা সাইকেল কিনে দিয়েছে, এর মধ্য গোপাল স্যারের ব্যাচে অঙ্ক করতে রোজ বিকেলে যাওয়া আরম্ভ করেছি, সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ রোজ বাড়ি ফিরি । বাড়ি ফেরার পথে রোজ দেখি লুলু অন্ধকার রাস্তায় ওঁদের বন্ধ সাইকেলের দোকানের সামনে দাড়িয়ে থাকে । আমি এটাও লক্ষ্য করেছি লুলু আমাকে দেখে মুখ লুকায় ।
লুলুর অন্ধকার রাস্তায় দাড়িয়ে থাকাটা আমার মনে বেশ কয়টি আঁচড় কেটেছে । আমি জানতাম অলি কিংবা লালুকে জিজ্ঞাসা করলে এর কোন সদুত্তর পাও যাবে না, আর ওদের এসব জিজ্ঞাসা করলে ওঁরা বাড়ী গিয়ে সব কথা বলে দেবে, যা আমার পক্ষে ভয়ঙ্কর কিছু হতেই পারে ।
এর মধ্যে নতুন একটা ঘটনা ঘটল, অলি এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার মায়ের কাছ থেকে নতুন বিছানার চাদর, চিনামাটির কাপ ডিস চেয়ে নিয়ে গেছে । পড়ে বাড়ীতে কানাঘুসো শুনেছি লুলুকে পাত্র পক্ষ দেখতে আসছে ।
আমার তো আর আনন্দ ধরে না, আমি আর অলি এরই মধ্যে আলোচনাকরে নিয়েছি লুলুদিদির বিয়েতে আমরা কি কি আনন্দ করব । আমার দাদু বলল, লুলুর বিয়েতে কোন একটা জিনিসের ভাড় আমরা নেবো ।
মানুষ ভাবে যা অনেক সময় তার উল্টোটা হয় , লুলুর বিয়ে হওয়া নিয়ে আমাদের মধ্যে যত জল্পনা কল্পনা চলছিল তাতে জল ঢেলে দিয়েছিল জনৈক কয়েকজন প্রতিবেশি । লুলুকে যতগুলো সম্বন্ধ দেখেগেছে, তার লুকিয়ে যতবার পাড়ায় খোঁজ নিতে এসেছেন, কয়েকজন প্রতিবেশী অতি দায়িত্ব ও বিচক্ষনতার সঙ্গে জানিয়েছেন যে লুলু একটি দুশ্চরিত্র মেয়ে, যে নাকি রাতের অন্ধকারে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকে খোদ্দের ধরবার আশায় ।
লুলুর বিয়ে ভেঙ্গে যাবার পর একদিন দুপুর বেলার কথা, সেদিন ছিল শনিবার, দুপুর ২ টোয় ছুটি হয়েছে । খুব খিদে পেয়েছে, খুব জোড়ে সাইকেল চালিয়ে বাড়িতে আসছি আর ভাবছি বাড়ি ফিরেই খেতে বসতে হবে, স্নান পরে করব ।
গেট খুলে সাইকেল নিয়ে ঘরে ঢুকে দেখি বাড়ান্দায় পাড়ার বিশিষ্ট কিছু মহিলারা এসে বসে আছেন । কোন এক গুরুত্বপূর্ন মিটিং চলছে , আর সেই মিটিং এ নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমার মা আর ঠাকুমা । কাছে গিয়েই আলোচনার বিষয়টা যে কি আর তা কতটা নোংরা তা আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেল ।
আমি ঘরে ঢুকে বিছানার ওপর ব্যাগটা ছুড়ে ফেললাম, তার পর মাকে বললাম, মা আমাকে আগে খেতে দেবে ?
কথাটা এতটাই রূক্ষ ভাবে বলেছিলাম যে উপস্হিত সকলের বুঝতে আর বাকি থাকল না যে আমি কতটা রুষ্ট হয়েছি ।
পাশের বাড়ির টুনি দির মা তো বলেই ফেললো, বাবা..., মেয়ের গলা দেখ না ! শ্বশুর বাড়ী গিয়ে হারমাস জ্বালিয়ে খাবে ।
আমি মাকে বললাম, মা.....।
মা রান্না ঘরে ছুটল আমাকে খেতে দিতে ।
আমাকে খেতে দিয়েই মা ছুটল আলোচনায় যোগ দিতে ।
আমি খেতে খেতে শুনছিলাম ওঁদের কথা ।
একজন বলছিল আমাদের বিট্টুর বাবা নিজের চোক্ষে দেখেছে লুলু রাস্তায় দাড়িয়ে খোদ্দেরের সঙ্গে দড়দাম করছে ।
আরেকজন বলছে , বাপ্পা ওর বন্ধুদের সঙ্গে বেড়ার ফাঁক দিয়ে লুলুর কিত্তি দেখেছে , অল্প বয়সের ছেলে মাসিমা, যা হয় ।
দাশ বাড়ীর বুড়িটা যা কথা বললো তা শুনে আমিও আমার মাথা আর ঠিক রাখতে পারলাম না ।
দাশ বুড়ি তাঁর খ্যানখেনে গলায় শয়তানি মিচকে হাসি হেসে জানাল, পেট টা দেখেছ মা বেশ বড় হয়েছে, পাপ ফুটে উঠেছে । মেজটার মতন এটাকেও না ঝুলতে হয় ।
বিট্টুর মা বলে উঠল পাপ ঢাকা দেবার জন্যই তো বিয়ের এত তাড়া ।
হঠাৎ করে আমার চোখের সামনে সুন্দরির নিথর দেহটা ভেসে উঠল । আমি খাওয়া ছেড়ে বেরিয়ে এলাম বাইরে ।
আপনা কি করছেন ? আপনারা মজা দেখছেন ?
আমার মা চিৎকার করে উঠল ভেতরে যা.....।
আমাকে বলতে দাও । লুলু আর সুন্দরিরা এসব কাজ কে নিজের বাবা মা ভাই বোনেদের পেট চালানর জন্য , সখে না ।
আর বিট্টুর বাবা, বাপ্পা বা তার বন্ধুরা রাতের অন্ধকারে খোদ্দের সেজে লুলুর কাছে যায় না তারই বা কি গ্যারেন্টি আছে । না হলে ওরা এত কথা জানল কি করে !
বিট্টুর মা চিৎকার করে উঠল এইটুকু মেয়ের মুখে এত বড় কথা ? আমার স্বামীর নামে বদনাম দিস ?
তোমার স্বামী লুলু দিদি সম্পর্কে বলতে পারে., আমি তার সম্পর্কে বললেই দোষ ?
আর লুলু দিদির পেট যদি ফোলে তার জন্য তোমরা সবাই দায়ী ।
দাদু ঘর থেকে বেরিয়ে আমার গালে সপাটে থাপ্পর বসিয়ে দেয় ।
চুপ...., আর একটা কথা না ।
আমি গালে হাত দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললাম দাদু ওরা বড্ডো গরিব, আমরা পারি না ওদের সাহায্য করতে ?
দাদু আমার গালে আরেকটা থাপ্পর বসিয়ে দেয় ।
সবাই গুন গুন করে বলে ওঠে ঠিক হয়েছে ।
এই ঘটনার একমাস কেটে যায় , কিরন সরকারের সাইকেলের দোকানে একদিন সাইকেল পাম্প করতে গেছি, লুলু দিদিকে দেখলাম শতজীর্ন একটা লাল নাইটি পড়ে দোকানের একপাশে রাখা ভাঙ্গা টুলটাতে বসে আছে, সত্যিই ওঁর পেটটা বড় লাগছিল । আমার হঠাৎ চোখ পড়ল দোকানের আরেক কোনে টালির ছাদ থেকে ঝুলন্ত শতজীর্ন সাইকেলের টায়ারটার দিকে ।
আমি নিজের অজান্তেই কোন এক ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎ দর্শন করে আঁতকে উঠলাম ।
সভ্য-শিক্ষিত নাগরিক সমাজের বাসিন্দা হয়েও কবি দেবশ্রী জীবনকে দেখেছেন খুব কাছ থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাবাবার কারণে। বিভিন্ন মানুষের সংশ্রবে আসায় যাপিাত জীবনের অন্বিত জীবনবাহারী সাটাঙ্গে সাপটা তুলে এনেছে তার কবিতায়-কথাসাহিত্যে-গল্পে। বোধ এর বিলে কবি ডুবুডুবো করে অসহায় মানবমূতির্র ভাসমান বাস্তবতার চিত্র নিখুথভাবে অংকণ করেছেণ নি:সন্দেহে। সেখানে দেবশ্রীয় স্টাইল, নির্মণ ছাঁচ অবলায়ীয় অহংকার করবার মতোই। এগিযে চলবে কবি দেবশ্রী। তার জন্যে শুভকামান।
ReplyDeletedhonnobad dada
Delete