আমি কিছুদিন আগে গীতার ওপর একটা লেখা ফেসবুকে শেয়ার করেছিলাম , লেখাটা শুরু করেছিলাম এই তথ্যটা দিয়ে
যে গীতা কোন বিশেষ সম্প্রদায়ের জন্য লেখা ধর্মগ্রন্থ না ;গীতা জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে পৃথিবীর যেকোনো স্থানে যে কোন সম্প্রদায়ের
মানুষ পড়তে পারেন এবং তার আদর্শ গ্রহণ করতে পারেন । গীতা যুগযুগান্তর ধরে প্রবহমান এক ENCYLOPEDIA , যা একধারে যেমন
দর্শনের কথা বলেছে তেমনি বিজ্ঞানের বহু অজানা তথ্য  বহু আগে জানিয়েছে । গাছের যে প্রাণ আছে এই তথ্য স্যার জে.সি বোস আবিষ্কারের
বহু আগে গীতা আমাদের জানিয়েছে ।

গীতার সারাংশ-
যা হয়েছে তা ভালই
হয়েছে,
যা হচ্ছে তা ভালই
হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই
হবে।
তোমার কি হারিয়েছে,
যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিল
যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ,
যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান
থেকেই নিয়েছ।
যা দিয়েছ এখানেই
দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে,
কাল
তা অন্যকারো ছিল,
পরশু
সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে
পরিবর্তনই সংসার এর
নিয়ম।

 আমাদের দেশ ভারতবর্ষকে সাম্প্রদায়িক ঐক্যের দেশ বলা হয়, কারণ এমন দেশ আর পৃথিবীর কোথাও
নেই যেখানে এত রকমের ধর্মীয় সম্প্রদায় এক সাথে বসবাস করে । এ আমাদের গর্ব আমাদের অহংকার ।
প্রকৃতি,ভাষা এবং ধর্মীয় বৈচিত্র্য থাকা সত্যেও আমরা ঐক্যবদ্ধ;তাই তো এই দেশকে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের
দেশ বলে ।

মাঝে মাঝে খুব দুঃখ হয় যখন দেখি কিছু সুবিধাবাদী মানুষ নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য আমাদের ঐক্যের মধ্য
ভাঙ্গন ধরাচ্ছে । মুসলিম শাসকরা আমাদের দেশে এসে এই দেশকে ভালবেসেছিলেন এবং নিজের দেশ ভেবেই
উন্নয়ন করেছিলেন । সম্রাট আকবরকে যুগযুগধরে ভারতবাসী মনেরাখবে এক সু শাসক হিসাবে । এই
প্রসঙ্গে একটা উদাহরণ দিই । একবার পর্তুগীজরা গাধার গলায় কোরানকে বেধে ঘুরিয়ে ছিল । একথা জানতে
পেরে আকবরের মা তাকে বলেন তুমি কুকুরের গলায় বাইবেল বেধে ঘোরাও । তখন তিনি মাকে বলেন মা
আমি শুনেছি বাইবেল খুব পবিত্র গ্রন্থ, ওরা যে অপরাধ করেছে, আমিও যদি তাই করি, তা হলে ওদের
আর আমার মধ্য পার্থক্য কি থাকল । পাঠকদের জানিয়ে রাখি এই তথ্য আকবর-নামা পড়ে আমি জেনেছি ।
এই ছিলেন আমাদের সম্রাট আকবর । এই প্রসঙ্গে আরেকটা কথা জানাই হুমায়ূন-নামা পড়ে জেনেছি গোয়ালিয়র
এর রাজকন্যাকে লাঞ্ছনার হাত থেকে হুমায়ূন রক্ষা করেছিলেন, তাই গোয়ালিয়রের রাজমাতা খুশি হয়ে
তাকে "কোহিনূর" উপহার দিয়েছিলেন ।

আজ ইংরেজরা না আসলে ভারতবর্ষের অনেক উন্নয়ন যেমন হত না, তেমনি তারা যাবর আগে সাম্প্রদায়িকতার
বীজটাও পুতে দিয়ে গেছিলেন, যাকে এখনকার রাজনৈতিক দল গুলো ভোটের রাজনীতিতে ব্যাবহার করছে ।
কেউ গরু কাটা বন্ধ করছে আবার কেউ দুর্গাপূজার অনুমতি দিচ্ছেন না । এতে আমাদের মতন সাধারণ ভারতবাসীর
কোন লাভ হচ্ছে কি ? আমাদের মধ্যে দাঙ্গা বাধিয়ে দিয়ে এরা ভোটে জিতবে, আমাদের শোষণ করে সেই টাকায়
নিজেরা ফুর্তি করবে । মাঝখান থেকে প্রান যাবে আমাদের বোকা ভাই বোন গুলোর ।

আমি এই প্রসঙ্গে গীতার একটা শ্লোক তুলে ধরছি ।

 প্রথম অধ্যায়- বিষাদ যোগ, শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা যথাযথ

ধৃতরাষ্ট্র উবাচ
ধর্মক্ষেত্রে কুরুক্ষেত্রে সমবেতা যুযুৎসবঃ।
মামকাঃ পান্ডবাশ্চৈব কিমকুর্বত সঞ্জয় ॥ ১ ॥

ধৃতরাষ্ট্রঃ উবাচ–মহারাজ ধৃতরাষ্ট্র বললেন; ধর্মক্ষেত্রে–ধর্মক্ষেত্রে; কুরুক্ষেত্রে–কুরুক্ষেত্র নামক স্থানে; সমবেতাঃ– সমবেত হয়ে; যুযুৎসবঃ–যুদ্ধকামী; মামকাঃ–আমার দল (পুত্রেরা); পান্ডবাঃ–পান্ডুর পুত্রেরা; চ– এবং; এব– অবশ্যই; কিম্–কি; অকুর্বত–করেছিল; সঞ্জয়–হে সঞ্জয়।

গীতার গান
ধর্মক্ষেত্রে কুরুক্ষেত্রে হইয়া একত্র।
যুদ্ধকামী মমপুত্র পান্ডব সর্বত্র ॥
কি করিল তারপর কহত সঞ্জয়
ধৃতরাষ্ট্র জিজ্ঞাসয়ে সন্দিগ্ধ হৃদয় ॥

অনুবাদ
ধৃতরাষ্ট্র জিজ্ঞাসা করলেন–হে সঞ্জয়! ধর্মক্ষেত্রে যুদ্ধ করার মানসে সমবেত হয়ে আমার পুত্র এবং পান্ডুর পুত্রেরা তারপর কি করল?

তাৎপর্য
ভগবদ্গীতা হচ্ছে বহুজন-পঠিত ভগবৎ-তত্ত্ববিজ্ঞান, যাঁর মর্ম গীতা-মাহাত্ম্যে বর্ণিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভগবদ্গীতা পাঠ করতে হয় ভগবৎ-তত্ত্বদর্শী কৃষ্ণভক্তের তত্ত্বাবধানে। ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির পরিপ্রেক্ষিতে গীতার বিশ্লেষণ করা কখনই উচিত নয়। গীতার যথাযথ অর্থ উপলব্ধি করার দৃষ্টান্ত ভগবদ্গীতাই আমাদের সামনে তুলে ধরেছে অর্জুনের মাধ্যমে, যিনি স্বয়ং ভগবানের কাছ থেকে সরাসরিভাবে এই গীতার জ্ঞান লাভ করেছিলেন। অর্জুন ঠিক যেভাবে গীতার মর্ম উপলব্ধি করেছিলেন, ঠিক সেই দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোবৃত্তি নিয়ে সকলেরই গীতা পাঠ করা উচিত। তা হলেই গীতার যথাযথ মর্ম উপলব্ধি করা সম্ভব। সৌভাগ্যবশত যদি কেউ গুরুপরম্পরা-সূত্রে ভগবদ্গীতার মনগড়া ব্যাখ্যা ব্যতীত যথাযথ অর্থ উপলব্ধি করতে পারেন, তবে তিনি সমস্ত বৈদিক জ্ঞান এবং পৃথিবীর সব রকমের শাস্ত্রজ্ঞান আয়ত্ত করতে সক্ষম হন। ভগবদ্গীতা পড়ার সময় আমরা দেখি, অন্য সমস্ত শাস্ত্রে যা কিছু আছে তা সবই ভগবদ্গীতায় আছে, উপরন্তু ভগবদ্গীতায় এমন অনেক তত্ত্ব আছে যা আর কোথাও নেই। এটিই হচ্ছে গীতার মাহাত্ম এবং এই জন্যই গীতাকে সর্বশ্রেষ্ঠ শাস্ত্র বলে অভিহিত করা হয়। গীতা হচ্ছে পরম তত্ত্বদর্শন, কারণ পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজে এই জ্ঞান দান করে গেছেন।
মহাভারতে বর্ণিত ধৃতরাষ্ট্র ও সঞ্জয়ের আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে ভগবদ্গীতার মহৎ তত্ত্বদর্শনের মূল উপাদান। এখানে আমরা জানতে পারি যে, এই মহৎ তত্ত্বদর্শন প্রকাশিত হয়েছিল কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গনে, যা সুপ্রাচীন বৈদিক সভ্যতার সময় থেকেই পবিত্র তীর্থস্থানরূপে খ্যাত। ভগবান যখন মানুষের উদ্ধারের জন্য এই পৃথিবীতে অবতরণ করেছিলেন, তখন এই পবিত্র তীর্থস্থানে তিনি নিজে পরম তত্ত্ব সমন্বিত এই গীতা দান করেন।
এই শ্লোকে ধর্মক্ষেত্র শব্দটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধক্ষেত্রে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুন তথা পান্ডবদের পক্ষে ছিলেন। দুর্যোধন আদি কৌরবদের পিতা ধৃতরাষ্ট্র তাঁর পুত্রদের বিজয় সম্ভাবনা সম্বন্ধে অত্যন্ত সন্দিগ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। দ্বিধাগ্রস্ত-চিত্তে তাই তিনি সঞ্জয়কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “আমার পুত্র ও পান্ডুর পুত্রেরা তারপর কি করল?” তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে, তাঁর পুত্র ও পান্ডুপুত্রেরা কুরুক্ষেত্রের বিস্তীর্ণ ভূমিতে যুদ্ধ করবার জন্য সমবেত হয়েছিলেন। কিন্তু তবুও তাঁর অনুসন্ধানটি ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি চাননি যে, পান্ডব ও কৌরবের মধ্যে কোন আপস-মীমাংসা হোক, কিন্তু তিনি চেয়েছিলেন যুদ্ধে তাঁর পুত্রদের ভাগ্য সুনিশ্চিত হোক। তার কারণ হচ্ছে কুরুক্ষেত্রের পুণ্য তীর্থে এই যুদ্ধের আয়োজন হয়েছিল। বেদে বলা হয়েছে, কুরুক্ষেত্র হচ্ছে অতি পবিত্র স্থান, যা দেবতারাও পূজা করে থাকেন। তাই, ধৃতরাষ্ট্র এই যুদ্ধের ফলাফলের উপর এই পবিত্র স্থানের প্রভাব সম্বন্ধে শঙ্কাকুল হয়ে পড়েছিলেন। তিনি খুব ভালভাবে জানতেন যে, অর্জুন এবং পান্ডুর অন্যান্য পুত্রদের উপর এই পবিত্র স্থানের মঙ্গলময় প্রভাব সঞ্চারিত হবে, কারণ তাঁরা সকলেই ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ। সঞ্জয় ছিলেন ব্যাসদেবের শিষ্য, তাই ব্যাসদেবের আশীর্বাদে তিনি দিব্যচক্ষু প্রাপ্ত হন, যার ফলে তিনি ঘরে বসেও কুরুক্ষেত্রের সমস্ত ঘটনা দেখতে পাচ্ছিলেন। তাই, ধৃতরাষ্ট্র তাঁকে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন।
পান্ডবেরা এবং ধৃতরাষ্ট্রের পুত্রেরা ছিলেন একই বংশজাত, কিন্তু ধৃতরাষ্ট্রের মনোভাবে এখানে প্রকাশ পেয়েছে। তিনি কেবল তাঁর পুত্রদেরই কৌরব বলে গণ্য করে পান্ডুর পুত্রদের বংশগত উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। এভাবে ভ্রাতুষ্পুত্র বা পান্ডুর পুত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের মাধ্যমেই ধৃতরাষ্ট্রের বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি হৃদয়ঙ্গম করা যায়। ধানক্ষেতে যেমন আগাছাগুলি তুলে ফেলে দেওয়া হয়, তেমনই ভগবদ্গীতার সূচনা থেকেই আমরা দেখতে পাচ্ছি, কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গনে ধর্মের প্রবর্তক ভগবান স্বয়ং উপস্থিত থেকে ধৃতরাষ্ট্রের পাপিষ্ঠ পুত্রদের সমূলে উৎপাটিত করে ধার্মিক যুধিষ্ঠিরের নেতৃত্বে ধর্মপরায়ন মহাত্মাদের পুনঃ প্রতিষ্ঠা করবার অয়োজন করেছেন। বৈদিক এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব ছাড়াও সমগ্র গীতার তত্ত্বদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মক্ষেত্রে ও কুরুক্ষেত্রে–এই শব্দ দুটি ব্যবহারের তাৎপর্য বুঝতে পারা যায়।

পান্ডবরা চিরকাল নিজের পিতা না থাকায় ধৃতরাষ্ট্রকে নিজের পিতার মতনই দেখতের তার ন্যায় অন্যায় সব কথাই পান্ডবরা মাথানত করে মেনে নিতেন । কিন্তু ধৃতরাষ্ট্র কোনদিনই পান্ডবদের নিজের প্রত্র ভাবেননি । তিনি সব সময়ে চেয়েছেন তার পুত্ররা সমস্ত রাজত্বের একমাত্র অধিকারি হোক এবং পান্ডবদের তিনি আগাছার মতন তুলে ফেলতে চেয়েছিলেন, তাই জন্য দূর্যোধন যখন ভীমকে খাবারে বীষ মিশিয়ে নদীতে ফেলে দিলেন কিংবা দৌপদীর বস্ত্রহরন করলেন তিনি বুখবন্ধ করে রেখেছিলেন । সেই সময় ধৃতরাষ্ট্র যদি পান্ডব ও কৌরবদের সমান চোখে দেখতেন এবং দুর্যোধনের অন্যায় কাজ গুলো প্রশ্রয় না দিতেন তা হলে হয়ত কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ এড়ানো যেত ।

হিন্দু আর মুসলিম দুই ভাই, তাই তাদর সমান চোখে দেখা উচিত । কারোর অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিয়ে শুধরে দেওয়াই আমাদের কর্তব্য, তাহলেই জাতীয় ঐক্য বজায় থাকবে ।কত যুগ আগে গীতাতে এত বড় কথা আমাদের ভগবান কৃষ্ণ বুঝিয়ে গেছেন আর আমরা এখনও বুঝতে পারছি না !

এই লেখা শেষ করব DR A.P.J ABDUL KALAM এক আত্মজীবনী থেকে নেওয়া একটা ঘটনা দিয়ে ।
কালামের প্রিয় বন্ধু ছিলেন রামেশ্বরমের শিব মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের ছেলে যিনি পরবর্তী কালে প্রধান পুরহিত
হয়েছিলেন । কালাম আর তার বন্ধু স্কুলে প্রথম বেঞ্চে বসতেন । একদিন স্কুলে নতুন টিচার আসবে, সবাই অপেক্ষা করছে
কখন নতুন টিচার আসবেন । কিছুক্ষণ পর নতুন টিচার আসলেন এবং তিনি এসেই কালাম ও তার বন্ধুর দিকে ভালো করে
দেখলেন । কলাম পঞ্চায়েত স্কুলে পড়তেন । তাই স্কুলের নির্দিষ্ট কোন পোশাক ছিলনা । ছেলে মেয়েরা বাড়ীর পোশাক পরে যেত ।
কালাম মুসলিম ছেলেদের মতনই পোশাক পরে গেছিলেন । কলাম মুসলিম তাই নতুন টিচার তাকে শেষ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিলেন ।
এই ঘটনা বাড়ী ফিরে কলাম এবং তার বন্ধু তাঁদের মুসলিম এবং হিন্দু পুরোহিত বাবাকে জানালেন । পরের দিন রামেশ্বরম শিব মন্দিরের
প্রধান পুরোহিত ও কলামের বাবা স্কুলে গিয়ে নতুন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় যে যে শিক্ষক ক্লাসের বাচ্চাদের মধ্যে ধর্মীয় বিদ্বেষ
তৈরি করেন সে বাচ্চাদের কি শিক্ষা দেবেন । সেই দিনই সেই নতুন শিক্ষককে স্কুল থেকে বার করে দেওয়া হয় ।

JAI HIND...

Comments

  1. নানা বিধি নানা মত
    নানা পরিধান,
    বিভেদের মাঝে দেখ
    মিলন মহান।

    ধন্য জীবন, ভারতীয় হতে পেরে।।

    ReplyDelete
  2. আপনি লিখেছেন সৎ উদ্দেশ্যে কিন্তু ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ।

    ReplyDelete
  3. বাবর নামা,আইন ই আকবরী টাও পড়ে নেবেন একবার .....আর সর্বধর্মসমন্বয়ের মহান বাণী টি কাবা গৃহের অলিন্দে ও ছড়িয়ে দিয়ে আসলে ভালো হতো না কি

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular Posts